আদর্শ নাগরিক সৃষ্টি ও উন্নত জাতি গঠনে শিক্ষক শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের মধ্যে সমন্বয় ও সেতু বন্ধন অত্যন্ত জরুরি। এতে শিক্ষার্থীদের মানসম্মত পাঠদান সম্ভব।
এরই ধারাবাহিকতায়ে ঢাকার ধানমণ্ডি ২৭ এ অবস্থিত আরায “রেস্টুরেন্ট অ্যান্ড ব্যাঙ্কুইট হলে” বিসিআই ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর ডিপ্লোমা ছাত্র ছাত্রি, শিক্ষক শিক্ষিকা গন এবং সম্মানিত অভিভিবক দের নিয়ে অভিভাবক দিবসের আয়োজন করা হয়।
উক্ত অভিভাবক দিবসে বক্তব্য রাখেন বিসিআই ইঞ্জিনিয়ারিং ইন্সটিটিউট এর সম্মানিত প্রিন্সিপাল স্যার মোঃ তারিকুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে অভিভাবকগনের সাথে দিনব্যাপী মতবিনিময় , অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। প্রিন্সিপাল স্যারের বক্তব্যটি
সংক্ষিপ্ত আকারে তুলেধরা হল।
বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
পরম করুণাময়ের অশেষ কৃপায় আলোকিত মানুষ গড়ার প্রত্যয়ে ১৯৯৫ সালে বিসিআই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের যাত্রা শুরু হয়েছে। একজন আলোকিত মানুষই গড়ে তুলতে পারে একটি আলোকিত সমাজ, জাতি তথা সমগ্র রাষ্ট্র। প্রত্যেক ধর্মেই বিদ্যা শিক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব প্রদান করা হয়েছে। পশুপাখি সহজেই পশুপাখি, তরুলতা সহজেই তরুলতা; কিন্তু মানুষকে ‘মানুষ’ হতে হয় আপ্রাণ চেষ্টায়। মানুষকে সত্যিকার মানুষ হিসেবে গড়ে তোলার প্রধান অনুষঙ্গ শিক্ষা; আর শিক্ষা গ্রহণের প্রাতিষ্ঠানিক ধাপ হচ্ছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। একথা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলা যায় যে, শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও অভিভাবক এ ত্রিমূলের সমন্বিত প্রচেষ্টার মাধ্যমে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার সুষ্ঠ পরিবেশ গড়ে তোলা সম্ভব। আজকের কোমলমতি শিশুরা যদি সঠিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে পরিবার, সমাজ তথা রাষ্ট্রের প্রতি সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে তবেই তারা আলোকিত মানুষ হিসেবে গড়ে উঠবে। সম্মানিত অভিভাবকবৃন্দ এবং আমাদের অসংখ্য শুভাকাঙ্খী আন্তরিক সহযোগিতা ও মূল্যবান পরামর্শ দিয়ে আমাদের কাঙ্খীত লক্ষ্যে পৌঁছাতে সাহায্য করবেন এটাই আমাদের প্রত্যাশা। আপনাদের সহযোগিতা ও পরামর্শের সাথে আমাদের আন্তরিক চেষ্টার সমন্বয়ের মাধ্যমে আমরা আমাদের প্রত্যাশিত ফলাফল আর্জনে সক্ষম হবো ইনশাআল্লাহ্।