পিঠে বা পিঠা: বাংলার নিজস্ব আদিম আভিজাত্যপূর্ণ খাদ্যদ্রব্য পিঠা। শীত আসে সেই সঙ্গে হাজির হয় পিঠা উৎসব। এ সময় টাটকা চালে তৈরি করা হয় বাহারি পিঠা পুলি। পিঠার সেই মৌ মৌ গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে মূলত ঋতুর প্রথম ভাগ থেকে। । অঞ্চলভেদে পিঠের ভিন্ন ভিন্ন বৈচিত্র্য দেখা যায়। গ্রামাঞ্চলে সাধারণত নতুন ধান তোলার পর থেকেই পিঠা তৈরির আয়োজন করা হয়। শীতের ও পৌষ পার্বণের সময় বাংলার প্রতি ঘরে ঘরে পিঠে তৈরি করা হয়। পিঠে সাধারণত মিষ্টি স্বাদের হয়ে থাকলেও ঝাল, টক বা অন্য যে কোনও স্বাদ হতে পারে। এ গেল দেশ–প্রাণের কথা। গ্রাম কিংবা শহরে নরনারীরাও এই আয়োজন থেকে বিচ্ছিন্ন থাকতে চান না। তারা ছেলেমেয়ে বা প্রিয়জনদের সামনে আনেন মুখরোচক সব পিঠা।
সেজন্যেই পিঠাকে ঘিরে পল্লী মায়ের কোল কবিতায় বাংলাদেশের বিখ্যাত কবি বেগম সুফিয়া কামাল লিখেছেন,
“পৌষ পার্বণে পিঠা খেতে বসি খুশীতে বিষম খেয়ে
আরও উল্লাস বাড়িয়াছে মনে মায়ের বকুনি পেয়ে।”
আমাদের দেশিয় ঐতিহ্য কে ধরে রাখতে ও শিক্ষার্থীদের সচেতন করতে বিসিআই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট পিঠা উৎসবের আয়োজন করছে আগামি ০৫/০২/২০২০ ইং তারিখ রোজ বুধবার। পিঠা উৎসবে অংশগ্রহন করবে সকল টেকনোলজির শিক্ষার্থীরা।