ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেই উৎসবের আমেজটা টের পাওয়া গেল। শীতের সকালে ঠাণ্ডা হিম বাতাসে উৎসবের আমেজটা নতুন মাত্রা পেল। বলছিলাম বিসিআই ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউটের কথা। সম্প্রতি ইনস্টিটিউটের ক্যাম্পাসে আয়োজিত হয়ে গেল পিঠা-২০২০।
উৎসবের উদ্বোধন করেন ইনস্টিউটের অধ্যক্ষ মোঃ তারিকুল ইসলাম । পিঠা উৎসবে নানা পিঠার সমাহার নিয়ে হাজির ছিল শিক্ষার্থীরা। ঋতুবৈচিত্র্যের এ দেশে শীত আমাদের অনেকের কাছেই প্রিয়। বাঙালি ঐতিহ্যগত কারণে এ ঋতুর সঙ্গে পিঠার অন্যরকম যোগসূত্র আছে। তাই শীতকে আমরা বরণ করে নিই এই পিঠা উৎসবের মাধ্যমে। তাছাড়া পিঠা উৎসবের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের মিলনমেলা তৈরি হয়।
এ জন্য সকল শিক্ষার্থীকে ধন্যবাদ আমাদের সহযোগিতা করার জন্য। উৎসবে প্রবেশ মুখেই নানা পিঠার গন্ধে জিভে জল আসার জোগাড়। স্টলগুলো ঘুরে দেখা গেল বাঙালি ঐতিহ্যের নানা রকম পিঠা। পুলি, ভাপা, চিতই, পাটিসাপটা, মাংস পিঠা, নকশা, পাকন, শামুক, ডিম প্রভৃতি পিঠার সমাহার। উৎসবে শিক্ষার্থীদের ৬ টি স্টলের পিঠার সমাহার ।৬ টি স্টলের মধ্যে শিক্ষকদের ১ টি স্টল ছিল। পিঠাগুলোর দাম ছিল শিক্ষার্থীদের সাধ্যের মধ্যেই।’ উৎসবে অংশগ্রহণ করা অন্য পিঠা স্টলগুলোতেও ছিল পিঠার বৈচিত্র্য। উৎসবে আসা শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন স্টল ঘুরে ঘুরে বিভিন্ন পিঠা খেয়ে দেখেছেন। ক্যাম্পাসে এ রকম উৎসবে সবার সঙ্গে পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। ষড়ঋতুর এ দেশে শীত অন্যরকম এক ঋতু। কবিগুরুর ভাষায়_ ‘এসেছে শীত গাহিতে গীত বসন্তেরি জয়, যুগের পরে যুগান্তরে মরণ করে নয়।’ আর এ শীতেই বাঙালির ঘরে ঘরে পিঠা বানানোর ধুম পড়ে যায়। শহুরে সমাজে সেই ঐতিহ্যের ধারা কিছুটা মলিন হয়ে গেলেও শিক্ষার্থীদের এমন পিঠা উৎসবের আয়োজন বাঙালি ঐতিহ্য রীতিনীতিকে কিছুটা মনে করিয়ে দেয়। উৎসবের আমেজ লাগে মনে।